এই প্রশ্নটি করেছেন এক উঠতি বয়সি যুবতি বোন। তিনি হয়তো কোন নষ্ট ছেলের সাথে প্রেম করেন এবং সেই ছেলে তাঁর সাথে অসামাজিক ও ধর্মীয় অস্বীকৃতি এই কাজটি করতে চান আর তারই সাথে নিজের আগ্রহ আছে বিধায় নিরাপদে কিভাবে মিলিত হওয়া যায়, যার ফলে পেটে বাচ্ছা আসবে না তা জানতে চেয়েছেন। আমরা পুরো কথোপকথন টি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
প্রশ্নঃ কিসের মাধ্যমে সেক্স করলে প্রেগন্যাট হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা?
উত্তরঃ আমি না হয় আপনাকে সেক্স করার পরও গর্ভবতী হওয়ার থেকে বাঁচার উপায় (মাধ্যম) বলে দিলাম। কিন্তু আপনি বিবাহের পূর্বে সমাজ ও ধর্মের অস্বীকৃতি ব্যক্তির সাথে সেক্স করে নিজের গায়ে নষ্টা মেয়ে খেতাব লাগাবেন, তাঁর থেকে নিজকে কিভাবে রক্ষা করবেন তা কি চিন্তা করেছেন? আপনি কি নষ্টা মেয়ে হতে চান? আমার কথায় আপনি কষ্ট পাবেন না শুধু একটু চিন্তা করুন। আপনি নিচের দুইটি পোস্ট একটু পড়ে আসুন……….
প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি করুন যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর ওষুধ ভায়াগ্রা-ভিডিও সহ
বর্তমান ছেলেদের কাজ হচ্ছে, নতুন নতুন মেয়ে বন্ধু জোগাড় করা এবং তাদেরকে ভালোবাসার নামে পটিয়ে টাকা পয়সা বেশি থাকলে বিছানায় (হোটেলে) আর কম থাকলে মাটিতে(বন-জঙ্গল বা পার্কের নির্জন স্থান) শুয়ে মধু খাওয়া। তিনি যাতে এরকম দুষ্টা ভ্রমরদের শিকার না হন তাঁর জন্য একটু চিন্তা ভাবনা করতে বলেছিলাম। তিনি এর বিপরীতে উত্তর দিলেন……..
-“আজকাল ভালোর কোন দাম নাই। আপনি আমায় উপায় বলে দিন। বাকিটা আমার ব্যাপার!”
আমাদের উত্তরঃ আপনার রিপ্লে পড়ে আমি মর্মাহত হলাম। সত্যিই আমরা অবাক হয়ে যায় মেয়েদের নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারতে দেখে। আমরা বেকার মেয়েদের ভালো জন্য লেখালেখি করে সময় নষ্ট করি। ভালো জায়গায় থাকলে অবশ্যই ভালোর দাম পাবেন। মন্দ জায়গায় তো আর আপনি ভালোর দাম পাবেন না। যাই হোক আপনি যা জানতে চেয়েছেন তা এখানে বলে দিচ্ছি। গর্ভ হওয়া থেকে নিজেকে রক্ষার পদ্ধতির নাম হচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণ। জন্মনিয়ন্ত্রের বিভিন্ন পদ্ধতি আছে।
০১. ক্ষণস্থায়ী। যেমনঃ কনডম। সেক্স করার আগে উত্তেজিত লিংগে পড়াতে হয়। লিঙ্গ কনডম পড়িয়ে সেক্স করা হলে বীর্যপাত কনডমের ভিতরে আটকে যাবে যার ফলে পুরুষের শুক্রকীট নারীর যোনির ভিতরে প্রবেশ করবে না এবং গর্ভধারনের সম্ভাবনা ৯০ ভাগ কমে যায়। ক্ষণস্থায়ী সময়ের জন্য কনডম উপযুক্ত গর্ভনিরোধক পদ্ধতি।
যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে মুরগির ডিম এর ভূমিকা। কি ভাবে খাবেন জেনেনিন
০২ অস্থায়ী স্বল্পমেয়াদি। এর মধ্যে আছে খাবার বড়ি ও ইনজেকশন। এই টি মাস ব্যক্তিক পদ্ধতি।
খাবার বড়ি বা পিল ও জন্মবিরত ইনজেকশন দ্বারা গর্ভধারণ রোধ করতে হলে মাসিক শুরু হওয়ার দ্বিতীয় দিন থেকেই খাবার বড়ি খেতে হবে বা ইঞ্জেকশন গ্রহণ করতে হবে।
০৩. দীর্ঘ মেয়াদি। এটা নতুন বের হয়েছে। যারা দীর্ঘদিন বিরতি দিয়ে বাচ্ছা নিতে ইচ্ছুক তাদের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।
০৪. স্থায়ী পদ্ধতি। যারা বাচ্ছা নিতে চায় না তাদের জন্য। এটি নারী পুরুষ উভয়েই গ্রহণ করতে পারে। দুই জনের মধ্যে একজনে গ্রহণ করলেই আর বাচ্ছা হবে না।
০৫. জরুরী জন্ম বিরতিকরণ। এটাকে ইমার্জেন্সি পিল বলা হয়। এই পিল সেক্স করার ৪৮ ঘণ্টার পরে খেলেও জন্মরোধ হয়। একটি পাতায় একটি পিল থাকে এবং এর সম্ভবত ৮০ টাকা হবে। বর্তমানে এটি প্রত্যেক ফার্মেসিতেই পাওয়া যায়।