আমাদের সমাজে যৌণবিষয়ক আলোচনা যেন ব্রাত্য। কিন্তু দাম্পত্য জীবনেযৌণ রোগএকটি বড় সমস্যা। এ বিষয়ে সম্যক জ্ঞানের অভাব দাম্পত্য জীবনে কলহ ডেকে আনতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিবাহ-বিচ্ছেদ পর্যন্ত ঘটাতে পারে।সংসারে নিত্য মন কষাকষিতো আছেই। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌণতার সম্পর্ক স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দুজনের কারো যদি সমস্যা থেকে থাকে সেটার জন্য ব্যবস্থা নেয়া আবশ্যক। শুধু যে ওষুধ খেয়েই রোগ তাড়াতে হবে-বিষয়টা কিন্তু এমনও নয়। খাবারের মেন্যুতে কিছু পরিবর্তন আনলেও আমরা পেতে পারি সঠিক দাওয়াই।কৃত্রিম পন্থায় যৌনশক্তি বাড়াতে ভায়াগ্রা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। এ নীলাভ ট্যাবলেটটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও অনেক বিতর্ক রয়েছে।তবে বিজ্ঞানীরা শেষ পর্যন্ত পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াহীন প্রাকৃতিক ভায়াগ্রার সন্ধান দিয়েছেন। জিনিসটি আর কিছু নয়, আমাদের অতি পরিচিত তরমুজ। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ভায়াগ্রার মতোই কার্যকর এই ফল।
আরা পড়ুন….স্বামীকে খুশী রাখতে বিবাহিত নারীদের জন্য জরুরী হিদায়াত
যেসকল বোনেরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছেন অথবা ইতিমধ্যে বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেছেন সেসকল বোনদের জন্য রয়েছে কিছু জরুরী হিদায়াত যা স্বামী স্ত্রীর সুখের সংসার জন্য ভূমিকা রাখবে। সংসারে আপনার স্বামীকে খুশী ও সন্তুষ্ট রাখতে এই চারটি হিদায়াত গ্রহণ করুণ।
১. স্বামীর আনুগত্য করা, তাকে সন্তুষ্ট রাখা এবং তাঁর নির্দেশ পালন করা স্ত্রীদের কর্তব্য। বিশেষত স্বামী যখন তাকে সহবাসের জন্য আহ্বান করে।
২. হযরত নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, স্বামী যখন স্ত্রীকে তাঁর নিজের কাজের জন্য (অর্থাৎ সহবাসের জন্য) আহ্বান করে, তখন স্ত্রী যদি চুলার কাজেও ব্যস্ত থাকে; তবুও স্বামীর ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁর কাছে চলে আসা উচিৎ।
অর্থাৎ, স্ত্রী যত প্রয়োজনীয় কাজেই ব্যস্ত থাকুক না কেন, স্বামী আহ্বান করলে সব কিছু ছেড়ে দিয়ে তাঁর কাছে চলে আসা উচিৎ।
৩. হযরত রাসূলে করীম (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, কোন ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে পাশে শয়ন করার জন্য আহ্বান করলে সে যদি না আসে এবং স্বামী যদি অসন্তুষ্ট অবস্থায় ঘুমায়ে পড়ে, তাহলে ফেরেশতাগণ সারা রাত এ মহিলার উপর অভিসম্পাত ও লালত করতে থাকে।
৪. হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ) বলেন, দুনিয়াতে যখন কোন স্ত্রী তাঁর স্বামীকে বিরক্ত করে বা কোনরূপ কষ্ট দেয়, তখন জান্নাতের যে হুর কিয়ামতের দিন তাঁর স্ত্রী হবে, তারা এ স্ত্রীকে লক্ষ্য করে বলবে, ওহে হতভাগিনী! আল্লাহ তোর সর্বনাশ করুন। তুই আর তাঁকে কষ্ট দিস না, তিনি তো মাত্র কয়েক দিনের জন্য তোর কাছে মেহমান আছেন। অল্প দিন পরেই তিনি তোকে ত্যাগ করে আমাদের কাছে চলে আসবেন।